আমার পরিচয়

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলা সাহিত্য - কবিতা | NCTB BOOK

আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি,

আমি বাংলার আলপথ দিয়ে হাজার বছর চলি।

চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।

তেরোশত নদী শুধায় আমাকে, ‘কোথা থেকে তুমি এলে?”


আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে ।

আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। ।

আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে।

আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে ।

 

এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে ।

এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।

আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে ।

এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে ।

এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির-বেদি থেকে ।

আমি তো এসেছি 'কমলার দীঘি’, ‘মহুয়ার পালা' থেকে।

আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরিয়ত থেকে।

আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে ।

এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্য সেনের থেকে ।

এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে ।

এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে ।

এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।

 

আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে ।

আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।

এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে।

শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?”

তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শোন নাই –

‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।'

একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজও একসাথে থাকবই –

সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই ।

Content added || updated By
বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল
বাঙালি জাতি পালিয়ে গিয়েছিল
বাঙালি জাতি শত্রুপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল
বাঙালি জাতি বিক্ষুব্ধ ছিল
বাঙালি জাতির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
বাঙালি জাতির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়
বাঙালি জাতি স্বার্থপর
বাঙালি জাতি নিজেদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে

সৈয়দ শামসুল হক ২৭শে ডিসেম্বর ১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ডা. সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন এবং মাতার নাম সৈয়দা হালিমা খাতুন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। একসময় পেশায় সাংবাদিকতাকে বেছে নিলেও পরবর্তী সময়ে তিনি সার্বক্ষণিক সাহিত্যকর্মে নিমগ্ন থেকে বৈচিত্র্যময় সম্ভারে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটক রচনা করেছেন। তাঁর শিশুতোষ রচনাও রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক সাহিত্য-পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য: একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা, অগ্নি ও জলের কবিতা, রাজনৈতিক কবিতা; গল্পগ্রন্থ: শীত বিকেল, রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো; উপন্যাস: বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ; নাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরলদীনের সারাজীবন, ঈর্ষা; শিশুতোষ গ্রন্থ : সীমান্তের সিংহাসন। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন
 

Content added By

আলপথ – জমির সীমানার পথ। এখানে হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির পথ চলার কথা - বলা হয়েছে; চর্যাপদ - বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-ঐতিহ্যের প্রথম নিদর্শন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করেন। ছয়শ' শতক থেকে এগারশ' শতকের মধ্যে পদগুলো রচিত হয়েছে। এই পদগুলোর মধ্যে প্রাচীন বাংলার অতি সাধারণ মানুষের প্রাণময় জীবন চিত্র ফুটে উঠেছে। সওদাগরের ডিঙার বহর – মঙ্গলকাব্যে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যের কথা আছে। কবি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্য বোঝাতে এই লোককাহিনীর আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। কৈবর্ত বিদ্রোহ - একাদশ শতক থেকে আনুমানিক (১০৭০-১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে) মহীপালের বিরুদ্ধে অনন্ত-সামন্ত-চক্র মিলিত হয়ে যে বিদ্রোহ করেন তা-ই আমাদের ইতিহাসে কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে খ্যাত। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন কৈবর্ত সম্প্রদায়ের লোক। তাঁর নাম দিব্য বা দিৱোক। বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ঐতিহ্য বোঝাতে এই বিদ্রোহের উল্লেখ করা হয়েছে। পালযুগ – ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গোপালের রাজ্য শাসনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে পালযুগের সূচনা হয়। তারপর চারশত বছর পাল বংশের রাজত্ব টিকে ছিল। এ সময় শিল্প-সাহিত্যের অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়। চিত্রকলায়ও এই সময়ের সমৃদ্ধি লক্ষযোগ্য। কবি আমাদের শিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বোঝাতে পালযুগের চিত্রকলার উল্লেখ করেছেন। পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার - বর্তমান নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানায় পাহাড়পুর গ্রামে এই প্রাচীন বিহার অবস্থিত। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় পাল রাজা শ্রী ধর্মপালদেব (রাজত্বকাল ৭৭৭-৮১০ খ্রি.) এই বিশাল বিহার তৈরি করেছিলেন। একে সোমপুর বিহারও বলা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিহারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কবি আমাদের প্রত্নতাত্ত্ব ঐতিহ্যের পরিচয় দিতে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারের উল্লেখ করেছেন। বরেন্দ্রভূমে সোনামসজিদ – বরেন্দ্রভূমে সোনামসজিদ বলতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ছোট সোনামসজিদকে বোঝানো হয়েছে। বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে অবস্থিত। হোসেন শাহের (রাজত্বকাল ১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.) আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয় । অসাধারণ শিল্পসৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপত্যকর্ম হিসেবে সোনামসজিদ অন্যতম। কবি আমাদের মুসলিম ঐতিহ্যের সুমহান নিদর্শন দিয়ে এটি উল্লেখ করেছেন; দেউল – দেবালয়; সার্বভৌম বারোভূঁইয়া – বাংলায় পাঠান কররানী বংশের রাজত্ব দুর্বল হয়ে পড়লে খুলনা, বরিশাল, সোনারগাঁও, ময়মনসিংহ ও শ্রীহট্টে স্বাধীন জমিদারদের উত্থান ঘটে। ১৫৭৫ সালে মোগল সম্রাট আকবর বাংলা জয় করার পর এই স্বাধীন জমিদারগণ ঈসা খাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোগল শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ইতিহাসে এঁরাই বারোভূঁইয়া নামে পরিচিত। এঁরা হলেন ঈশা খাঁ, চাঁদ রায়, কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য, লক্ষ্মণ মাণিক্য প্রমুখ; কমলার দীঘি – মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা; মহুয়ার পালা মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা; তিতুমীর - চব্বিশ পরগনা জেলার  হায়দরপুর গ্রামে ১৭৮২ সালে মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অত্যাচারী ইংরেজ ও হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। ১৮৩১ সালের ১৯শে নভেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শহিদ হন। হাজী শরীয়ত – হাজী শরীয়তউল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০ খ্রি.) মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সামাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি দীর্ঘকাল মক্কায় অবস্থান করে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে অগাধ পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি ধর্মকে আশ্রয় করে সকল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তাঁর এই আন্দোলনকে ফরায়েজি আন্দোলন বলে। এরপর তিনি আবদুল ওহাব নামক এক ধর্মসংস্কারকের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ওহাবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন । তিনি সাধারণ মানুষকে ধর্মের প্রকৃত রূপ ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া বিদেশি শাসন-শোষণ; জমিদার, জোতদার ও মহাজনদের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করেন। ক্ষুদিরাম – ক্ষুদিরাম বসু (১৮৮৯-১৯০৮ খ্রি.) মেদিনীপুর জেলার মৌবনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বাংলা সাহিত্য
ছিলেন। অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত দুইজন ইংরেজ নারীকে হত্যা করেন। ১৯০৮ সালের ১১ই আগস্ট এই মহান বিপ্লবীর ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়। সূর্য সেন- মাস্টার দা সূর্য সেন (১৮৯৩-১৯৩৪ খ্রি.) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজীবন তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি চট্টগ্রামকে ইংরেজমুক্ত করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কিন্তু বেশিদিন তা রক্ষা করতে পারেন নি। ১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারি তাঁর ফাঁসি হয়। জয়নুল— জয়নুল আবেদিন (১৯১৪-১৯৭৬ খ্রি.) কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন । ‘শিল্পাচার্য’ হিসেবে তিনি খ্যাত। দেশজ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমিতে তাঁর বিপুল শিল্পকর্ম রচিত। দুর্ভিক্ষতাড়িত জীবন ও জগতের ছবি এঁকে তিনি অসামান্য এক জীবন-তৃষ্ণার পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশে শিল্পকলা আন্দোলনের তিনি পথিকৃৎ। অবন্ ঠাকুর - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১ খ্রি.) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তবে শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তিনি অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ -১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার অধিকারের জন্য এদেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে ঢাকার রাজপথ। আর সেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সাফল্যের পথ ধরেই সূচিত হয় স্বাধীনতা আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর — বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫ খ্রি.)। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে তিনি অভিষিক্ত। তিনি ফরিদপুর জেলার (বর্তমান গোপালগঞ্জ) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাঙালি জাতির তিনি অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা। তাঁর বিস্ময়কর প্রতিভাদীপ্ত নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ অতিক্রম করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়লাভ করে । তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির প্রতীক, সমৃদ্ধির প্রতীক। জয় বাংলা – মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতীয় স্লোগান হিসেবে অসাধারণ এক প্রেরণা সঞ্চারী শব্দমালা। এই স্লোগান ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। ২০২০ সালের ১০ই মার্চ ‘জয় বাংলা' স্লোগানকে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট রায় প্রদান করে ৷
 

Content added || updated By

সৈয়দ শামসুল হকের কিশোর কবিতা সমগ্র থেকে ‘আমার পরিচয়' শীর্ষক কবিতাটি সম্পাদিত আকারে চয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ। আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন এই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার পশ্চাতে আছে সমৃদ্ধ এক ইতিহাস। সৈয়দ শামসুল হক গভীর মমত্বের সঙ্গে কবিতার আঙ্গিকে চিত্রিত করেছেন সমৃদ্ধ সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমি। সহজিয়াপন্থী বৌদ্ধ কবিদের সৃষ্ট চর্যাপদের মধ্যে বাঙালি জাতিসত্তার যে অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধের পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে – যুগে যুগে নানা আন্দোলন, বিপ্লব-বিদ্রোহ, আর মতাদর্শের বিকাশ হতে হতে আমরা এসে পৌঁছেছি আজকের বাংলায়। সৈয়দ শামসুল হক এই বিবর্তনের বিচিত্র বাঁক ও মোড় তাৎপর্যময় করে তুলেছেন। চাঁদ-সওদাগরের বাণিজ্য যাত্রা, কৈবর্তবিদ্রোহ, পালযুগের চিত্রকলা আন্দোলন, বৌদ্ধবিহারের জ্ঞানচর্চা, মুসলিম ধর্ম ও সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ, বারোভূঁইয়াদের উত্থান, ময়মনসিংহ গীতিকার জীবন, তিতুমীর আর হাজী শরীয়তের বিদ্রোহ, রবীন্দ্র-নজরুলের কালজয়ী সৃষ্টি, ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ ‘আমার পরিচয়' কবিতার মধ্যে এই বিপুল বাংলাদেশ অনবদ্যরূপ লাভ করেছে।

Content added By
Promotion